সেন্টমার্টিন যাওয়ার অন্যতম রুট টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বন্ধ করে দেওয়া হয় বিগত কয়েকবছর ধরে এতে করে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণ সকলেই অসন্তুষ্ট। এমনকি কেউ কেউ যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলা যায়। কারণ হচ্ছে এ নৌপথে যেমন খরচ ও সময় কম, তেমন আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয়।
কিন্তু মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা ও নাফ নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে বর্তমানে এ নৌপথ ব্লক করে দেয় প্রশাসন। এতে পর্যটন শিল্পের অপূরনীয় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
অনেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের মতো সকল জাহাজ সরাসরি কক্সবাজার থেকে দেওয়ার কথা বলছে। আমি মনে করি এটা ফাউল চিন্তাভাবনা। কারণ কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথের দূরত্ব ১১০ কিলোমিটারের বেশি।
ছোট ছোট জাহাজগুলো এতো দূরত্বের পথ পাড়ি দিয়ে আবার ফিরে আসা যেমন কঠিন হবে। তার চেয়ে কঠিন হবে যাত্রীদের এতো দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরা। ভাড়াও অনেকের নাগালের বাহিরে চলে যাবে।
আবার কেউ কেউ ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ব্যবহারের অনুমতির কথা বলছে। এটাও দূরত্বের দিক দিয়ে অনেক বেশি হয়ে যায়। ৭৫-৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের জাহাজ মালিকদের সংগঠন সাবরাং জিরো পয়েন্ট বা এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন থেকে অস্থায়ী ঘাট করার অনুমতি চাচ্ছে। এটারও একটা সমস্যা হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ রোডের সক্ষমতা! এখানে ঢাকার লাইনের বড় বড় গাড়ি দুটা ক্রস করা কঠিন হবে। ফলে জ্যাম লেগে পর্যটকদের যথেষ্ট সময় নষ্ট হবে।
আজ বিকল্প নৌ রুট নিয়ে একটা আইডিয়া দেবো। যেটা নাফ নদী ও বার্মা সীমান্ত এড়িয়ে খুব কম সময়ে পর্যটকবাহী জাহাজ ও নৌযান সেন্টমার্টিন যাওয়া আসা যাবে।
এতে দূরত্ব কম হওয়ায় সময় যেমন বাঁচবে, তেমন খরচও অনেক কম হবে।
শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া হতে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। আর শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাশে পানির গভীরতা সাবরাং এর মতোই। দুটাতেই ঢেউ একটু বেশি। কিন্তু ৬০০-৭০০ মিটার পর্যন্ত সমুদ্রগর্ভে জেটি নেওয়া গেলে ঢেউ বা স্রোতের ঝামেলা থাকবে না।
শাহপরীর দ্বীপে বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা ও নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেবে।
0 Comments